May 1, 2024, 4:16 am
ব্রেকিং নিউজ

গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়নি, খুলল সীমান্তের ৭ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

রিপোর্টারের নাম:
  • আপডেট টাইম Tuesday, January 30, 2024
  • 53 দেখা হয়েছে

বান্দরবান প্রতিনিধি
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তে মঙ্গলবার গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়নি। ফলে ঘুমধুম সীমান্তে বন্ধ করে দেওয়া ৭ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে।
উপজেলার মিয়ানমার-নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত ঘেঁষে বিদ্রোহী গোষ্ঠী ও মিয়ানমার জান্তা সরকারের মাঝে গত কয়েক দিনে ব্যাপক গোলাগুলি, কামানের গোলা নিক্ষেপের পাশাপাশি বিমান থেকে গোলাবর্ষণ করার কারণে নিরাপত্তা বিবেচনায় সীমান্তবর্তী এলাকার ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১টি মাদ্রাসা এবং ১টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় উপজেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ।

মঙ্গলবার সকাল থেকে ঘুমধুম সীমান্তে কোনো ধরনের গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়নি বলে নিশ্চিত করেছেন ঘুমধুম ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আজিজ। তিনি জানান, সকাল থেকে এখানের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

এদিকে সীমান্তের উত্তেজনা কিছুটা কমার কারণে সাময়িক বন্ধ হওয়া ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় এবং সীমান্তের ১০০ গজ দূরত্বে থাকা ৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়টি নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা শিক্ষা অফিসার ত্রিরতন চাকমা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, সীমান্তের পরিস্থিতি আজকে স্বাভাবিক হওয়ায় শিক্ষা কার্যক্রম চলছে তবে নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।

বান্দরবান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবদুল মান্নান বলেন, মঙ্গলবার সকাল থেকে মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকার অভ্যন্তরে গোলাগুলির কোনো ঘটনা এখনো পর্যন্ত ঘটেনি; তাই বন্ধ হওয়া ঘুমধুম সীমান্ত এলাকার বাইশ ফাঁড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাজা বনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম কুল তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রাখা হবে।

প্রসঙ্গত, মিয়ানমারে সংঘাতময় পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যার প্রভাব বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যেও এসে পড়েছে। এ অবস্থায় মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম নাজমুল হাসান।

তিনি ২৮ জানুয়ারি বিজিবির কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন (৩৪ বিজিবি)-এর অধীন, উখিয়ার পালংখালী বিওপি এবং নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু বিওপি ও ঘুমধুম সীমান্ত এলাকা এবং টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি)-এর অধীন হোয়াইক্যং বিওপি ও তৎসংলগ্ন সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করে এ নির্দেশনা দেন।

শেয়ার করুন
এই ধরনের আরও খবর...
themesba-lates1749691102