রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহীর জ্যেষ্ঠ ফটোসাংবাদিক আজাহার উদ্দিনের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আজাহারের মোটরসাইকেলসহ বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়েছে। এ হামলায় আজাহারসহ তার পরিবারের সাতজন আহত হয়েছেন। সোমবার সন্ধ্যার পর এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আজাহার উদ্দিন দৈনিক ইত্তেফাকের রাজশাহীর ফটোসাংবাদিক। তিনি নগরীর সাগরপাড়া বটতলা এলাকার বাসিন্দা। জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষদের এ হামলার ঘটনায় ফটোসাংবাদিক আজাহার উদ্দিনের মেয়ে দিলরুবা সরকার বাদী হয়ে ২৪ জনের বিরুদ্ধে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় একটি মামলা করেছেন। এ মামলায় পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতার পাঁচজন হলেন- প্রতিপক্ষ মো. নুরুর বোন নাসিমা খাতুন (৫০) এবং তাদের সহযোগী মিনু বেওয়া (৪৫), মুক্তা খাতুন (৩৪), মো. নাদিম (২৭) এবং ইসমে ইসলাম সামির (২৩)।
পুলিশ তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। মামলার প্রধান আসামি সিটি করপোরেশনের সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা দিলদার হোসেন (৫০) পলাতক আছেন।
আজাহার উদ্দিন জানান, তার ভাই মো. শামীম বিহারীদের কাছ থেকে কেনা জমিতে পরিবার নিয়ে বাস করেন। এই জমি দীর্ঘদিন ধরেই দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছেন দিলদার ও নুরুসহ তাদের সহযোগীরা। এ নিয়ে গত চারদিন ধরে দফায় দফায় শামীমের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চলছে। এ নিয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করা হয়। এতেও প্রতিপক্ষরা ক্ষান্ত হয়নি।
সোমবার সন্ধ্যার পর পাশেই তার বাড়িতে হামলা চালানো হয়। দিলদার ও নুরুর ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী এ হামলা চালায়। তারা বাড়ির বাইরে রাখা তার মোটরসাইকেল এবং বাড়ির ভেতরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। বাড়ি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে আজাহারসহ তার পরিবারের সাতজন আহত হন।
খবর পেয়ে বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ নুরুর বাড়ি থেকে তার সহযোগী তিন নারীকে এবং পরে অন্য দুজনকে আটক করে থানায় নেয়। পরে ওই রাতেই ২৪ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। হামলায় আহতরাও ওই রাতেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেন।
নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এ হামলা চালানো হয়েছে। ইতোমধ্যে হামলার সঙ্গে জড়িত কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পলাতক অন্য আসামিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।