মোঃ দেলোয়ার হোসেন, মৌলভীবাজার:
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ছালামিটিলা গ্রামের জাকারিয়া রাজা’র বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর চালিয়ে চুরির ঘটনা ঘটেছে।
মামলার সূত্রে জানা যায়, গত বৃহষ্পতিবার (৯ মার্চ) রাত ১১টায় একই গ্রামের তাজুল ইসলামের নের্তৃতে হামলা চালিয়ে নগদ ৩ হাজার পাউন্ড, ২৫ হাজার টাকা এবং স্বর্ণলংকারসহ সোয়া ৯ লাখ টাকা নিয়ে যায়। সে সময় ঘরের দেয়ালসহ ঘরে থাকা ল্যাপটপ, মোবাইল সেট, আসবাবপত্র ভাংচুর করে। তাতে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করে। এ সময় বাড়ির মালিক জাকারিয়ার উপর হামলা চালালে তিনি পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় মৌলভীবাজার মডেল থানায় বেআইনী জনতাবদ্ধে অনাধিকার প্রবেশ করিয়া হুকুমদাতার হুকুমে চুরি, ক্ষতি সাধন এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করার অপরাধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলায় আসামীরা হচ্ছেন, ছালামীটিলা গ্রামের, মৃত. এলাইছ মিয়ার ছেলে তাজুল ইসলাম(৪৫), ফরমুজ মিয়ার ছেলে শাহান মিয়া (২৫), ও শাওরুল মিয়া(২২), তাজুল ইসলামের ছেলে মাহাদী হাসান(২০), মৃত.মন্নাফ মিয়ার ছেলে ফরমুজ মিয়া(৬০), কমলগঞ্জ উপজেলার বড়চেক গ্রামের রইছ মিয়ার ছেলে হারুন মিয়া(৫০) সহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২জনকে আসামী করা হয়েছে।
মামলার বাদী জাকারিয়া রাজা’র বাবা রফিক রাজা এ প্রতিবেদককে মুঠোফোনে জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ শাহাজানুর রাজার সঙ্গে তাদের পারিবারিক বিরোধ চলছে। কিছুদিন পূর্বে শাহাজানুর রাজা বাংলাদেশে আসে। সে আসার পূর্বে রফিক রাজাকে হুমকি দিয়ে বলেছিল, রফিক রাজার বসতঘর ভাংচুর করে ফেলবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিনের পারিবারিক কলহের কারণে এধরণের ঘটনার সম্মুখীন হন ভুক্তভোগী পরিবার।
চলতি মাসের ৩ মার্চ রফিক রাজার ছেলে জাকারিয়া রাজা লন্ডন থেকে দেশে ঘুরতে এসে নিজ বাড়িতে আসেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, উপ-পরিদর্শক কাঞ্চন দাস মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। আসামীরা পলাতক থাকায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আসামীদেও গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।