April 25, 2024, 1:57 am
ব্রেকিং নিউজ

খায়েশ হয়েছে ২০৪১ সাল পর্যন্ত থাকার : মির্জা ফখরুল

রিপোর্টারের নাম:
  • আপডেট টাইম Saturday, March 11, 2023
  • 63 দেখা হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক:
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান সরকারের ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতা থাকার খায়েশ জেগেছে। সেই নীলনকশা নিয়েই তারা ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো একই কায়দায় ২০২৩ সালের নির্বাচন করতে চায়। কিন্তু মানুষ এবার তা হতে দেবে না। উত্তাল তরঙ্গ সৃষ্টি করে জনগণ এদের পরাজিত করবে।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক মানববন্ধনে অংশ নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম এসব কথা বলেন।

বর্তমান সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে আজ বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সারা দেশে সব জেলা ও মহানগরে একযোগে মানববন্ধন করে বিএনপিসহ সরকারবিরোধী বিভিন্ন দল ও জোট। রাজধানী ঢাকায় যাত্রাবাড়ী থেকে টঙ্গীর আবদুল্লাহপুর ব্রিজ পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার সড়কে এ মানববন্ধন হয়।

নয়াপল্টনে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম ও উত্তর বাড্ডার সুবাস্তু নজরভ্যালি মার্কেটের সামনে মানববন্ধনে স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আজকে এই সরকার পরিকল্পিতভাবে এ দেশের সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে। সংবিধানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ১৯৭২ সালে যে সংবিধান হয়েছিল, পরবর্তীকালে সংবিধানে জনগণের প্রয়োজনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে ব্যবস্থা যুক্ত করা হয়েছিল, তাকে ভেঙেচুরে তারা এখন একদলীয় শাসনব্যবস্থা করার লক্ষ্যে দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছে।

বিগত দুটি জাতীয় নির্বাচনের উদাহরণ টেনে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘২০১৪ সালে নির্বাচনে কোনো ভোটার বা মানুষের অংশগ্রহণ ছিল না। ২০১৮ সালে নির্বাচন করেছে আগের রাত্রে। এখন আবার খায়েশ হয়েছে যে তারা ২০৪১ সাল পর্যন্ত থাকবে। সেই ব্লুপ্রিন্ট (নীলনকশা) নিয়ে তারা আবার ২০২৩ সালের নির্বাচন করতে চায় একই কায়দায়। কেন? কারণ, তাদের তো আজীবন ক্ষমতায় থাকতে হবে। এই দেশ তো তাদের জমিদারি, আমরা সব প্রজা। সেই প্রজার মতোই ব্যবহার তারা আমাদের সঙ্গে শুরু করেছে।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আজকে কথায় হবে না। এই আন্দোলনে মানুষকে আরও সম্পৃক্ত করতে হবে। জনগণের উত্তাল তরঙ্গ সৃষ্টি করে এদের পরাজিত করতে হবে। আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ করেছেন যে এখন কথা বলতে শুরু করেছেন এই অবৈধ সরকারের দু–তিন মন্ত্রী, যাঁরা কথায় কথায় বিভিন্ন কথা বলেন। এখন বলতে শুরু করেছেন যে বিএনপি ভয় পায়, বিএনপি নির্বাচন করবে। পরিষ্কার ভাষায় বলে দিতে চাই, বিএনপি এ সরকারের অধীন, হাসিনা সরকারের অধীন, এই নির্বাচন কমিশনের অধীন কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আন্দোলন শুরু করেছি। এই আন্দোলনে আমরা ১০ দফা দিয়েছি। এই ১০ দফার মধ্যে আমরা পরিষ্কার বলেছি যে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। একটা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে একটা নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচন করতে হবে।’

ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে একের পর এক বিস্ফোরণের জন্য সরকার এবং সংশ্লিষ্ট তদারকি প্রতিষ্ঠানগুলোকে দায়ী করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেন, এই দেশকে তারা একটা নরকে পরিণত করেছে। সিদ্দিকবাজারে, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে, সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে ভবন বিস্ফোরিত হয়ে উড়ে গেল। কারণ, যাঁরা দায়িত্বে আছেন এগুলো দেখার, তারা দেখেননি।

সরকারের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যাদের একমাত্র কাজ হচ্ছে এ দেশের মানুষকে শোষণ করা। সেই শোষণের টাকা দিয়ে পুঁজি সঞ্জীবিত করা। এটা আমার কথা নয়। আজকে দেশে, আন্তর্জাতিকভাবে নামকরা পত্রপত্রিকাগুলো বলতে শুরু করেছে। গার্ডিয়ান বলছে, বাংলাদেশের উন্নয়নের ফানুস দুর্নীতির কারণে চুপসে গেছে।’

শেয়ার করুন
এই ধরনের আরও খবর...
themesba-lates1749691102