অনলাইন ডেস্ক:
বাংলাদেশের সব অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ১১ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন।এ বিষয়ে সোমবার (১৬ জানুয়ারি) হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘উপর্যুক্ত বিষয়ে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, অধস্তন সব আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে প্রধান বিচারপতি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। সুপ্রিম কোর্ট হতে ইতোপূর্বে একাধিকবার দেশের প্রত্যেক আদালতের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
অধস্তন দেওয়ানী আদালতে মোকদ্দমাগুলোর নথিতে বিচারপ্রার্থী জনগণের মূল দলিল বা ডকুমেন্টসহ বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র থাকে। আদালতের হেফাজতে থাকা এসব দলিলাদি ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র চুরি বা নষ্ট হলে আদালতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে। তাই অধস্তন সব আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্য প্রধান বিচারপতি সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিম্নোক্ত নির্দেশনা দিয়েছেন :
(ক) আদালত ও বিচারকদের বাসভবনের সীমানা প্রাচীর সুসংহত করা।
(খ) আদালত ও ট্রাইব্যুনালের এজলাস, বিভাগ, প্রতিটি ফটক ও আদালতের বাহিরে সিসিটিভি স্থাপন করা।
(গ) আদালত ভবনের বাইরে ও ভেতরে নিরাপত্তা প্রহরী দ্বারা সার্বক্ষণিক পাহারা দেওয়া।
(ঘ) আদালত ভবনের দরজা ও জানালাগুলো গণপূর্ত দরজা ও জানালাগুলো নতুন করে স্থাপন করা।
(ঙ) আদালত চত্বরে পর্যাপ্ত বৈদ্যুতিক বাতির ব্যবস্থা করা।
(চ) মামলা সংশ্লিষ্ট নথিপত্রের নিরাপদ সংরক্ষণের যথাযথ ব্যবস্থা করা।
(ছ) আদালতে ব্যবহারের নিমিত্ত মানসম্মত ফার্নিচার ও লকার নিশ্চিত করা।
(জ) আদালত সীমানার চারিদিকে সিকিউরিটি পোস্ট স্থাপন করা।
(ঝ) জরুরি ভিত্তিতে সারাদেশের আদালত এলাকায় রাতে সার্বক্ষণিক পুলিশের টহল জোরদার করা।
(ঞ) অবকাশকালীন সময়ে আদালত ভবনের বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
(ট) প্রত্যেক আদালত ও ট্রাইব্যুনালের কর্মকালীন পর্যাপ্ত পুলিশ প্রহরার ব্যবস্থা করা।
এ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে যে, ‘উপরিউক্ত নির্দেশনাগুলো আবশ্যিকভাবে প্রতিপালন করতে দেশের প্রত্যেক আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’