অনলাইন ডেস্ক:চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের সমর্থকদের হামলায় নিহত চট্টগ্রামের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে জামায়াতের কর্মী বলে উল্লেখ করেছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ মঙ্গলবার এ হত্যাকাণ্ডে তীব্র নিন্দা জানিয়ে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ কথা জানান জামায়াত আমির।
বিবৃতিতে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২৬ নভেম্বর দুপুরে যে নৃশংস হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, তা অত্যন্ত জঘন্য এবং নিন্দনীয় অপরাধ। একটি গোষ্ঠী পতিত স্বৈরাচারের পক্ষ নিয়ে বাংলাদেশকে অস্থির করার জন্য ক্রমাগতভাবে দুরভিসন্ধি ও অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশকে অস্থির করে তুলতে চায়। দেশপ্রেমিক জনগণ তাদের দুরভিসন্ধির ব্যাপারে পরিপূর্ণ সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ। তাদের অপচেষ্টা অতীতে যেমন ব্যর্থ হয়েছে, আগামীতেও ব্যর্থ হবে ইনশাআল্লাহ।’
জামায়াত আমির আরও বলেন, ‘আমার প্রিয় দলীয় সহকর্মী চট্টগ্রাম জজ আদালতের এপিপি তরুণ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ খুনের ঘটনায় আমি গভীরভাবে মর্মাহত। মহান রবের দরবারে মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা করছি। আল্লাহপাক তাকে জান্নাতের মেহমান হিসেবে কবুল করুন এবং শাহাদাতের সুউচ্চ মর্যাদা দান করুন। আমি তার শোক-সন্তপ্ত পরিবার, আপনজন, প্রিয়জন ও সহকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি।’
তিনি বলেন, ‘দেশের জন্য তার আত্মত্যাগ স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমার দলীয় সহকর্মী, ছাত্র-জনতা এবং দেশপ্রেমিক জনগণের প্রতি যেকোনো উসকানিতে সর্বোচ্চ ধৈর্য ধরার জন্য আন্তরিকভাবে আহ্বান জানাচ্ছি। কোনো অবস্থাতেই আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না। মহান আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।’
হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে জামায়াত আমির বলেন, ‘এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বা জানাচ্ছি।’
প্রসঙ্গত, জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্টদ্রোহ মামলায় কারাগারে যাওয়া বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও ইসকন (আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ) থেকে বহিস্কৃত নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবিতে আজ চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণ বিক্ষোভ ও ভাঙচুর করা হয়। তার সমর্থকদের হামলায় আইনজীবী আলিফ নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সহকর্মীরা।