হায়দার আলী, স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম
বৃহত্তর চট্টগ্রামের ৫০ টি উপজেলার মধ্যে ৪৮ টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন আগামী ৪ মে থেকে ২৫ মে পর্যন্ত ৪ ধাপে অনুষ্ঠিত হবেপ্রথম ধাপে ৪ মে ১৯ টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা সমূহ হলো- চট্টগ্রাম জেলার মধ্যে মিরসরাই, সীতাকুণ্ড ও সন্দ্বীপসহ ৩ টি উপজেলায়।
কক্সবাজার জেলার মধ্যে কক্সবাজার সদর, মহেশখালী ও কুতুবদিয়াসহ ৩ টি উপজেলায়।
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার মধ্যে রাঙ্গামাটি সদর, কাউখালী, জুরাছড়ি ও বরকলসহ ৪ টি উপজেলায়।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মধ্যে মানিকছড়ি, লক্ষীছড়ি, মাটিরাঙ্গা, গুইমারা ও রামগড়সহ ৫ টি উপজেলায়। এবং বান্দরবান পার্বত্য জেলার মধ্যে বান্দরবান সদর, আলীকদম, থানচি ও রোয়াংছড়িসহ ৪ টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
দ্বিতীয় ধাপে ১১ মে ১৬ টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা সমূহ হলো- চট্টগ্রাম জেলায় ফটিকছড়ি, হাটহাজারী, রাউজান, রাঙ্গুনিয়াসহ ৪ টি উপজেলায়।
কক্সবাজার জেলার মধ্যে ঈদগাঁও, পেকুয়া ও চকরিয়াসহ ৩ টি উপজেলায়।
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার মধ্যে বিলাইছড়ি, কাপ্তাই ও রাজস্থলীসহ ৩ টি উপজেলায়।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মধ্যে খাগড়াছড়ি সদর, পানছড়ি ও দীঘিনালাসহ ৩ টি উপজেলায়। এবং বান্দরবান পার্বত্য জেলার মধ্যে লামা, নাইক্ষ্যংছড়ি ও রুমাসহ ৩ টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তৃতীয় ধাপে ১৮ মে চট্টগ্রাম জেলার মধ্যে বোয়ালখালী, পটিয়া, আনোয়ারা ও চন্দনাইশসহ ৪ টি উপজেলায়।
কক্সবাজার জেলার মধ্যে রামু, উখিয়া ও টেকনাফসহ ৩ টি উপজেলায়।
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার মধ্যে লংগদু, নানিয়ারছর ও বাঘাইছড়িসহ ৩ টি উপজেলায়। এবং খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মহাল ছড়ি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
চতুর্থ ধাপে ২৫ মে শুধুমাত্র চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী ও লোহাগাড়া উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়াও পরবর্তী ধাপে চট্টগ্রাম জেলার কর্ণফুলী ও সাতকানিয়া উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচন কর্মকর্তা সূত্রে জানা যায়, “দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণের জন্য চট্টগ্রাম জেলার ৬ টি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তাদের পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। এদের মধ্যে ৫ জন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। বাঁশখালী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে না পাওয়ায় তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেননি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণকারী ৫ উপজেলা চেয়ারম্যানের মধ্যে সীতাকুণ্ড, পটিয়া ও সাতকানিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ফটিকছড়ি ও চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন।
চেয়ারম্যান পদ শূন্য হওয়ায় চট্টগ্রামের ছয় উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যানকে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান করে প্রশাসনিক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।”