February 17, 2025, 2:25 pm
ব্রেকিং নিউজ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মুক্ত আলোচনায় যা বললেন ডিসিরা ‘স্থানীয় নয়, আগে জাতীয় নির্বাচন চাই’ ডিসি সম্মেলন শুরু কাল, উঠছে ৩৫৪ প্রস্তাব বদলে গেল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের নাম বিশ্ব ইজতেমায় ৪৯ দেশের ১৪শ বিদেশি মেহমান জবি বৈষম্যবিরোধী কমিটিকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে নেতাদের পদত্যাগ ইজ‌তেমায় লা‌খো মুস‌ল্লির জুমার নামাজ আদায় ডিসেম্বরেই হতে পারে জাতীয় নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা অন্তর্বর্তী সরকারকেই বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে: হাসনাত আব্দুল্লাহ ভোজ্যতেলের বিষয়ে সুখবর দিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শবেবরাতের আমল ও করণীয় স্বর্ণের দাম বাংলাদেশে ইতিহাস গড়ল সরকার ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে: মির্জা ফখরুল হজযাত্রায় এজেন্সির গাফলতি থাকলে লাইসেন্স বাতিল: ধর্ম উপদেষ্টা সারা দেশে ৫৭ লাখ স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড পাঠিয়েছে টিসিবি মোজাম্মেলের বাড়ি ভাঙচুর, গাজীপুরে ছাত্র জনতার ওপর হামলায় আহত ১৫ আজ থেকে বাংলাদেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ প্রিয় দেশের স্বাধীনতা সবাই মেনে নিয়েছে: জামায়াতের আমির বিবিসি বাংলার কাছে ক্ষমা চাইলেন প্রেস সচিব সাবেক রাষ্ট্রপতি হামিদের বাড়িতে ভাঙচুর

বাকপ্রতিবন্ধী বৃদ্ধ ছেলের একমাত্র অবলম্বন অশীতিপর মা

রিপোর্টারের নাম:
  • আপডেট টাইম Friday, January 31, 2025
  • 19 দেখা হয়েছে

আনোয়ার হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ পৃথিবীর মধুরতম ডাক মা। ছোট্ট এ শব্দের অতলে লুকানো থাকে গভীর স্নেহ, মমতা আর পৃথিবীর সবচেয়ে অকৃত্রিম ভালোবাসা। শৈশব থেকে আনন্দ-বেদনা-ভয় কিংবা উদ্দীপনা প্রতিটি মানবিক অনুভূতিতে জড়িয়ে থাকে মায়ের নাম। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষের সবশেষ আশ্রয়স্থল মা নামের ওই মমতাময়ী নারীর আঁচল। বলছিলাম, বৃদ্ধা কয়েদ ভানুর কথা। কয়েদ ভানু
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার নিভৃত পল্লী কাশিয়াবাড়ি গ্রামের মৃত আলতাফ হোসেন এর স্ত্রী। একমাত্র বাকপ্রতিবন্ধী সন্তান আসকর আলী (৬২) কে নিয়ে বৃদ্ধা কয়েদ ভানুর জীবন কাটছে
অসহায়ত্বের কড়াল গ্রাসে।

বাকপ্রতিবন্ধী সন্তান আসকর আলী (৬২) চলাফেরা করতে পারেন না। চোখেও দেখেন না।
যে বয়সে স্ত্রী-সন্তান বা স্বজনের ওপর নির্ভরশীল হবার কথা। সেই বয়সে গৃহবন্দি আসকর আলীর
দিনযাপনের একমাত্র অবলম্বন অশীতিপর মা কয়েদ ভানু। অবুঝ শিশুর মতো মায়ের শাড়ির আঁচল ধরে দিন কাটতে হচ্ছে আসকর আলীকে।
অতিদরিদ্র মা-ছেলের নেই বসবাসের মতো একখণ্ড জমি। অন্যের জায়গায় ছোট্ট একটা ঘরে কোনোমতে দিন কাটছে তাদের। আয় রোজগারের কেউ নেই। দিনে একমুঠো ভাত জুটবে কিনা, এ নিয়েও প্রতিনিয়ত দুশ্চিন্তায় থাকতে হয় মা-ছেলেকে। আসকর আলী কথা বলতে না পারলেও জীবনের প্রতি তার পাহাড় সম অভিযোগ।

একমাত্র বাকপ্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়া মা কয়েদ ভানু। দেশ স্বাধীন হবার আগেই পরপারে চলে যান স্বামী আলতাফ হোসেন। স্বামীর মৃত্যুর পর এক বিভীষিকাময় পরিণতিতে কয়েদ ভানু ছোট্ট দুটি মেয়ে আর প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে দিশেহারা হয়ে ভাসতে থাকেন কষ্টের অথই সাগরে। ঝি এর কাজ করে দু’বেলা দু’মুঠো অন্ন তুলে দিতেন তিন সন্তানের মুখে।

বয়সের ভারে নুয়ে পড়া কয়েদ ভানু চোখের পানি মুছতে মুছতে বলেন, ‘স্বামী ছেড়ে যাওয়ার পর ছোট তিন সন্তান নিয়ে রাস্তার ধারের খুপরি ঘরে, মানুষের গোয়াল ঘরে, কখনও বা ইউনিয়ন পরিষদের বারান্দায় রাত কাটিয়েছি। অন্যের বাড়িতে কাজ করে ওদের খাইয়েছি। মেয়ে দুটিকে বিয়ে দিলেও অসুস্থ ছেলেকে টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারিনি। এমন নিষ্ঠুর জীবন যেন আর কারও না হয়।’

বয়সের ভারে কয়েদ ভানু কাজ করতে পারেন না। বাধ্য হয়ে ভিক্ষাও করেছেন কিছুদিন। তবে এখন ভিক্ষা করার শারীরিক সক্ষমতাও তিনি হারিয়ে ফেলেছেন। তিনি জানান, রান্নাবান্নার কাজও করতে পারেন না। মেয়েদের বিয়ে হয়েছে। তাদের সংসারেও নুন আনতে পানতা ফুরায়। ফলে মা-ছেলেকে দেখার মতো কেউ নেই। তবে কয়েদ ভানুর করুন আকুতি। অন্য দশ জনের মতো তিনি বাঁচতে চান।

শেয়ার করুন
এই ধরনের আরও খবর...
themesba-lates1749691102