January 21, 2025, 8:37 am
ব্রেকিং নিউজ
সুইজারল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা শপথের আগেই ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানিয়ে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা চাকরিহারা সংবাদকর্মীদের চাকরিতে পূণর্বহাল করার দাবি: জি এম কাদের জামিন পেলেন কারাগারে থাকা বিডিআরের ২০০ জওয়ান মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ সুইজারল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ১০০ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়ার ঘোষণা ইজতেমার ৭০ ভাগ প্রস্তুতি সম্পন্ন: ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি শুরু ২০ জানুয়ারি প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন নীতিমালা পুনর্মূল্যায়নে ১৭ সদস্যের কমিটি পুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করতে কাজ করছে কমিশন: আইজিপি রাজশাহীর সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক এবি পার্টির নতুন চেয়ারম্যান মজিবুর মঞ্জু, জেনারেল সেক্রেটারি ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ নতুন দায়িত্ব পেলেন মাওলানা মামুনুল হক ঢাকায় ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত হয়ে এলেন ট্রেসি অ্যান কোম্পানি পর্যায়ে গ্যাস কেনাবেচা হবে মিটারে বাংলাদেশের ১০ জেলায় শৈত্যপ্রবাহ বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো মানবদেহে ‘ব্যাট-রিওভাইরাস’ শনাক্ত থাইল্যান্ডে নেওয়া হলো ছাত্র আন্দোলনে আহত আশরাফুলকে কোনো দল-গোষ্ঠী-ব্যক্তিকে সহযোগিতা করতে মাঠে নামিনি: সিইসি

নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে সড়ক, ব্যবস্থা নিচ্ছেন না উপজেলা প্রকৌশলী

রিপোর্টারের নাম:
  • আপডেট টাইম Sunday, January 5, 2025
  • 22 দেখা হয়েছে

বরগুনা প্রতিনিধি:

আমতলী উপজেলার খুড়িয়ার খেয়াঘাট থেকে ধানখালী জিসির ৪ হাজার ৩০০ মিটার সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিকাদার শহীদুল ইসলাম মৃধা ও শাহীন তালুকদার এ নিম্নমানের কাজ করছেন।

উপজেলা প্রকৌশলী বিভাগ জেনেও ঠিকাদারের এহেন কাজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না। স্থানীয়দের দাবি, এ সড়ক বেশি দিন টিকবে না। সরকারের কোটি কোটি টাকা গচ্চা যাবে। তাই দ্রুত এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

জানা গেছে, খুড়িয়ার খেয়াঘাট থেকে ধানখালী জিসি সড়ক নির্মাণের দরপত্র আহবান করে বরগুনা নির্বাহী প্রকৌশল বিভাগ। ওই কাজে তিন কোটি চার লাখ ৯৫ হাজার ৫৯৪ টাকা বরাদ্দ হয়। ২০২৩ সালের ২১ ডিসেম্বর ওই কাজের টেন্ডার হয়। বরেন্দ্র ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পায় কাজ। ২০২৪ সালের ২১ এপ্রিল কাজ শেষ হওয়ার কথা।

কিন্তু ঠিকাদার গত বছর জুন মাসে ওই সড়কের কিছু অংশের কাজের ম্যাকাডাম করে ফেলে রাখেন। কাজের মেয়াদ আট মাস পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদার কাজ করেননি। গত ডিসেম্বর মাসে ওই কাজ শুরু করেন। শুরুতেই ঠিকাদার নিম্নমানের খোয়া ও পাথর দিয়ে কাজ শুরু করেছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

অভিযোগ এসেছে, ঠিকাদাররা দরপত্র অনুসারে সড়কের প্রস্ত ও গভীরতা দেয়নি। এ বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলী অফিসে জানালেও তারা কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না। ইতোমধ্যে উপজেলা প্রকৌশলী অফিস ওই কাজের এক কিস্তির বিল ছাড় দিয়েছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ঠিকাদারের লোকজন নিম্নমানের খোয়া দিয়ে কাজ করছেন। স্থানীয় বাচ্চু মিয়া ও কামাল হোসেন বলেন, এমন খোয়া দিয়ে বানানো সড়ক বেশি দিন টিকবে না। সরকারের কোটি কোটি টাকা গচ্চা যাবে। দ্রুত ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা।

মোটরসাইকেল চালক নজরুল ইসলাম বলেন, ঠিকাদার যে নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে সড়কের কাজ করেছেন তাতে সরকারি টাকা অপচয় ছাড়া আর কিছুই না।

ঠিকাদার শাহীন তালুকদার অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে দুই হাজার একশ মিটার সড়কের কাজ শেষ করেছি। বাকি কাজ দ্রুত শুরু করব। তিনি জানান, উপজেলা প্রকৌশলী কাজের বিল ছাড় দিলেও এখনো উত্তোলন করতে পারেননি।

আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইদ্রিস আলী বলেন, ঠিকাদার যতটুকু কাজ করেছেন তার বিল ছাড় দেওয়া হয়েছে। বরগুনা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মেহেদী হাসান খাঁন বলেন, কাজ করলে ঠিকাদারকে বিল ছাড় দিতেই হবে। তবে ঠিকাদার ওই সড়কের কিছু স্থানে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করেছিল। পরিদর্শন করে ওই নিম্নমানের সামগ্রী পরিবর্তন করা হয়েছে।

শেয়ার করুন
এই ধরনের আরও খবর...
themesba-lates1749691102