অনলাইন ডেস্ক:ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত হিসেবে যোগ দিলেন ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন। আজ শনিবার মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স, অ্যাড ইন্টেরিম হিসেবে যোগ দিয়েছেন তিনি।
আজ ট্রেসি অ্যানকে স্বাগত জানিয়ে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, ‘বাংলাদেশে আমাদের নতুন অন্তর্বর্তীকালীন চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনকে স্বাগত জানাতে পেরে আমরা উচ্ছ্বসিত। কূটনীতিতে ব্যাপক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও কসোভোতে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী এবং শক্তিশালী আন্তর্জাতিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রাষ্ট্রদূত জ্যাকবসন নিষ্ঠা ও দূরদর্শিতার সঙ্গে ঢাকা মিশনের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছেন।’
এর আগে গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মার্কিন দূতাবাস জানায়, ট্রেসি অ্যান সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে নিকটপ্রাচ্যবিষয়ক ব্যুরোতে ঊর্ধ্বতন উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন। তার আগে তিনি ইথিওপিয়ার আদ্দিস আবাবায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স, অ্যাড ইন্টেরিম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। লাটভিয়ার রিগায় যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি অ্যাম্বাসেডরও ছিলেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের স্কুল অব প্রফেশনাল অ্যান্ড এরিয়া স্টাডিজের ডিন এবং ন্যাশনাল ফরেন অ্যাফেয়ার্স ট্রেনিং সেন্টারের উপপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন ট্রেসি অ্যান।
মূলত, বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে বেইজিংয়ে মার্কিন দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন ডেভিড স্লেটন মিলকে মনোনীত করেছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বিদায়ী রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার কথা ছিল তার। তবে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ম অনুযায়ী, রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পাওয়ার আগে প্রেসিডেন্ট মনোনীত প্রার্থীকে সিনেটের শুনানিতে অংশ নিতে হয়। সেই শুনানি না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত ডেভিড মিল ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের দায়িত্ব নিতে পারেননি। আর এ কারণে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দেওয়ার আগ পর্যন্ত ট্রেসি অ্যান ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।