ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:ঝিনাইদহ পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা, নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ ৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে একযোগে বদলি করা হয়েছে। একসঙ্গে এতো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলির ঘটনায় নাগরিকদের মাঝে নানা আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। পৌরসভা প্রতিষ্ঠার ৬৭ বছরের ইতিহাসে এটা নজীবরিহীন ঘটনা বলছেন স্থানীয়রা
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের পৌর-১ শাখার আদেশ সূত্রে আজ রবিবার এই বদলির খবর জানা গেছে।
সূত্র মতে ঝিনাইদহ পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা মুস্তাক আহমেদকে পাবনার চাটমোহর, নির্বাহী প্রকৌশলী কামাল উদ্দীনকে সাঁথিয়া, সহকারী প্রকৌশলী মুন্সি মো. আবু জাফরকে গোপালগঞ্জ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান চানকে পাবনার আটঘরিয়া, নক্সাকার সবুজ মিয়াকে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা, সার্ভেয়ার আসাদুজ্জামানকে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ, কার্যসহকারী হাবিবুর রহমান হাবিবকে মহেশপুর ও সহকারী কর নির্ধারক আব্দুর রহমানকে শৈলকুপা পৌরসভায় বদলি করা হয়েছে।
আগামী ২৮ জানুয়ারি মঙ্গলবারের মধ্যে বদলি হওয়া কর্মস্থলে যোগদান না করলে ২৯ জানুয়ারি তাদের সবাইকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হবে বলে মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ কবির উদ্দীন সাক্ষরিত অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বদলিকৃত অনেকের বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতি, ফান্ড তছরুপ, কাজে অবহেলা, রাজনীতিকরণ ও দুর্নীতির অভিযোগ আছে।
এরমধ্যে নির্বাহী প্রকৌশলী কামাল উদ্দীন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান চান ও কার্য সহকারী হাবিব দীর্ঘদিন ধরে একই স্থানে থাকায় দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। তাদের বিরুদ্ধে পৌর নাগরিকদের মধ্যে অসন্তোষ ছিল। এ নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা ৫ আগষ্টের পর একাধিকবার ঝিনাইদহ পৌরসভায় গিয়ে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে আল্টেমেটাম দেন।
সূত্র মতে, ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের অফিস থেকে বিষয়টি মন্ত্রণালয়কে অবহিত করলে একযোগে ৮ কর্মকর্তা ও কর্মচারিকে বদলির আদেশ দেয়।
বদলির বিষয়টি স্বীকার করে ঝিনাইদহ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক রথীন্দ্রনাথ রায় জানান, আজ রবিবারই আদেশটি তিনি হাতে পেয়েছেন। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের পৌর-১ শাখা থেকে তাদের বদলি করা হয়েছে। তবে বদলি হওয়া কর্মকর্তা কর্মচারীরা এ নিয়ে কেউ মিডিয়ার সামনে বক্তব্য দিতে রাজি হননি।