আনোয়ার হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ ঘন কুয়াশা, উত্তরের হিমেল হাওয়া এবং কনকনে ঠান্ডায় গাইবান্ধার স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা, ফুলছড়ি এবং সদর উপজেলার চরাঞ্চলের দরিদ্র পরিবারগুলো শীতবস্ত্রের অভাবে চরম দুর্ভোগের মুখে পড়েছে। গত দু’দিন ধরে প্রচণ্ড শৈত্য প্রবাহে কাহিল হয়ে পড়েছে জেলার অসহায় দরিদ্র মানুষ। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। স্থবির হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। অসহায় মানুষগুলো খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন।
মধ্য রাত হতে দুপুর পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকে সূর্য। শ্রমজীবী মানুষ প্রচন্ড শীতের কারণে কাজে যেতে পারছে না। লোক সমাগম না থাকায় শহর ও হাট-বাজারে ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা নেমে এসেছে। ঘন কুয়াশার কারণে গাইবান্ধার তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, যমুনাসহ বিভিন্ন নদ-নদীতে নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। সকালের দিকে ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক পথে যানবাহন চলাচল করছে হেড লাইট জ্বালিয়ে। এছাড়া ঘন কুয়াশা ও শীতের কারণে বোরো বীজতলা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। প্রচণ্ড শীতের কারণে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগে প্রচুর শিশু ভর্তি হচ্ছে।
ঘন কুয়াশা দীর্ঘ সময় ধরে স্থায়ী হওয়ায় সূর্যকিরণ মিলছে না। সঙ্গে হিমালয় থেকে আসা উত্তরের বাতাসে বেড়েছে ঠাণ্ডার প্রকোপ। এ অবস্থা তিনদিন অব্যাহত থাকতে পারে। গতকাল মঙ্গলবার এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।