ইমরান মোল্লা,খুলনা:
আদালতের নির্দেশ অবমাননা করায় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের খুলনা বিভাগীয় উপ-পরিচালক মোঃ মুসলিম উদ্দিন ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ অহিদুল আলম এর বিরুদ্ধে বিজ্ঞ প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করেছেন। অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কয়েকদিন পূর্বে বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক গ্রেফতারি পরোয়ানো জারি করলেও রহস্যজনকভাবে প্রশাসন যেন দেখেই দেখছে না। তাদের প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানো দেখে সচেতন মহলে বেশ আলোচনার ঝড় উঠেছে। জানা যায়, তেরখাদা উপজেলার ইখড়ি কাটেংগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বরখাস্তকৃত সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ তহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে চাকরি ফেরত ও যোগদানের জন্য বিজ্ঞ প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-১১/১৮ এবং আপিল বিভাগে তার দায়েরকৃত মামলায় এ রায় প্রাপ্ত হন। বিবাদীগণ তারপরও উক্ত শিক্ষকের চাকরি ফেরত না দেওয়ায় বরখাস্তকৃত উক্ত সহকারী শিক্ষক বাদী হয়ে একই আদালতে জারি ৪/২০২২ নং মামলা দায়ের করেন। তারপরেও আদালতের আদেশ না মানায় বিবাদীদের প্রতি আদালত নির্দেশ অবমাননা সহ গ্রেফতারি পরোয়ানা ইসু করেন বিজ্ঞ আদালত। এ বিষয়ে মামলার বাদী ভুক্তভোগী মোহাম্মদ তহিদুল ইসলাম বলেন, দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি সহ বিজ্ঞ আদালতের রায় অনুযায়ী আমি আমার চাকরি ফেরত চাই। সব জায়গায় আমি নির্দোষ প্রমাণিত। শিক্ষা অফিসারদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলেও এখনো তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমি প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি বিজ্ঞ আদালতের রায় অনুযায়ী আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাই। এ বিষয়ে বিভাগীয় উপ-পরিচালক মোঃ মুসলিম উদ্দিন বলেন,আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগকারী শিক্ষক ২০১৮ সালে জাল সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরি করার দায়ে অভিযুক্ত। আমার জানা মতে, তার বিরুদ্ধে দুদকে মামলা আছে এবং গ্রেফতারি পরোয়ানাও রয়েছে। গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকা সত্ত্বেও প্রশাসন ধরছে না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,এটা সম্পূর্ণ প্রশাসনিক ব্যাপার। অপরদিকে সোনাডাঙ্গা থানা কর্তৃক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে অজ্ঞাত কারণে গ্রেপ্তার না করায় জনমনে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।