ইমরান মোল্ল,খুলনা:
সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাত জিম্মির দুই মাসের বেশি সময় পরে বাড়িতে ফিরেছেন খুলনার নাবিক মো. তৌফিকুল ইসলাম। জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার তিনি।
আজ বুধবার (১৫ মে) সকাল ১০টার দিকে খুলনা মহানগরীর ছোটবয়রা করীমনগর এলাকার নিজ বাড়িতে ফেরেন তিনি। বাড়িতে আসার পর তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন স্বজনরা। সৃষ্টি হয় এক আবেগঘন পরিবেশ। দুই মাসেরও বেশি সময় পর স্বজনরা তৌফিকুল ইসলামকে কাছে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। কেউ কেউ খুশিতে কাঁদতে থাকেন।
ইঞ্জিনিয়ার তৌফিকুল ইসলামের বাবা ইকবাল হোসেন, মা বিল আফরোজ, স্ত্রী জোবায়দা নোমান এবং দুই সন্তান তাসফিয়া তাহসিনা (৭) ও আহমেদ রুসাফি (৫) তাকে ফিরে পেয়ে যেন আকাশের চাঁদ হাতে পেয়েছেন।
তৌফিকুল ইসলামের মেয়ে তাসফিয়া তাহসিনা ও ছেলে আহমেদ রুসাফি কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান তাদের বাবাকে আর কোথাও যেতে দেবে না তারা।
ভারত মহাসাগরে বাংলাদেশি পণ্যবাহী একটি জাহাজ এবং ২৩ নাবিক ও ক্রু সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি ছিলেন।
এর আগে মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে সোমালিয়ায় জলদস্যুর কবল থেকে মুক্ত হওয়া এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিক দেশের মাটিতে পা রাখেন।
উল্লেখ্য, মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ সোমালিয়ার দস্যুরা ২৩ নাবিকসহ এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজটি জিম্মি করেছিল। দেশটির উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ভারত মহাসাগর থেকে জাহাজটি জিম্মি করেছিল সশস্ত্র জলদস্যুরা। ১৪ এপ্রিল ভোররাতে জাহাজটি জলদস্যুমুক্ত হয়।