
“প্রেস রিলিজ”
“র্যাব-১১ এবং জেলা প্রশাসন, কুমিল্লার বিশেষ অভিযানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতাল থেকে দালাল চক্রের ১০(দশ) জন সক্রিয় সদস্য আটক এবং বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান”
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১১ গত ০৫ আগষ্ট ২০২৪ তারিখ হতে অদ্যবধি দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বিভিন্ন অভিযানে চাঞ্চল্যকর অপরাধী ২৩৯ জন গ্রেফতার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভূক্ত শীর্ষ আসামী ০১ জন গ্রেফতার, আরসা সদস্য-১৫ জন গ্রেফতার, জঙ্গি-০২ জন গ্রেফতার, হত্যা মামলায় ১৮৬ জন গ্রেফতার, ধর্ষণ মামলায় ৯৩ জন গ্রেফতার, অস্ত্র সংক্রান্ত মামলায় ২৯ জন গ্রেফতারসহ ১০৮ টি অস্ত্র, ১৩৫৫ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার এবং ৪৫০ জন এর অধিক মাদক কারবারি গ্রেফতারসহ বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করে। পাশাপাশি ৭৮ জন অপহরণকারী গ্রেফতারসহ ৮৪ জন ভিকটিম উদ্ধার এবং ছিনতাইকারী ও ডাকাত ৮৬ জন, জেল পলাতক ৩৯ জন, প্রতারণার আসামী ১৭ জনসহ অন্যান্য অপরাধী প্রায় ৫৪০ জনকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে র্যাব-১১ জনগণের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
অদ্য ২৭/১০/২০২৫ ইং তারিখ দুপুরে র্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লা ও জেলা প্রশাসন, কুমিল্লা কর্তৃক কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতলে আগত সেবাপ্রার্থী রোগী ও তাদের আত্মীয়স্বজনদের হয়রানি রোধে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। উক্ত অভিযান পরিচালনাকালে কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে দালাল চক্রের ১০(দশ) জন সক্রিয় সদস্যকে আটক করা হয় এবং বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হয়।
র্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লা এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দালাল চক্রের কিছু ব্যক্তি হাসপাতালে আগত সেবাপ্রার্থী রোগী এবং তাদের আত্মীয়স্বজনদেরকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছে। তাৎক্ষণিক র্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লা এবং জেলা প্রশাসন, কুমিল্লা এর যৌথ আভিযানিক দল কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন কুচাইতলী সাকিনস্থ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রাঙ্গনে অদ্য ২৭/১০/২০২৫ইং তারিখ ১২.০০ ঘটিকা হতে ১৪.০০ ঘটিকা পর্যন্ত মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে এবং সেখানে উপস্থিত জেলা প্রশাসনের বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে বর্ণিত ঘটনাস্থল হতে দালাল চক্রের ১০ জন সক্রিয় সদস্য ১। মোঃ সোহেল (৩০), পিতা-মৃত আবু মিয়া, সাং-কুচাইতলী, ২। মাহবুবুর রহমান (২৮), পিতা-গাজী আব্দুল লতিফ, সাং-তেতৌয়ারা, ৩। মোঃ জাকির (৪৩), পিতা-মৃত শফিউল্লা, সাং-চরপাত্তি, ৪। মোঃ তাজুল ইসলাম, পিতা-এরশাদ মিয়া, সাং-কুচাইতলী, ৫। মাহমুদ (৪০), পিতা-গাজী মোঃ আঃ মোমিন, সাং-চাপাপুর, ৬। মোঃ নাছের (৩৬), পিতা-খলিলুর রহমান, সাং-কুচাইতলী, ৭। মোঃ ইমন (২১), পিতা-রকিবুল ইসলাম, সাং-কুচাইতলী, সর্ব থানা-কোতয়ালী মডেল, ৮। মোঃ আলাদিন, পিতা-আবুল কালাম, সাং-চিওড়া, থানা-চৌদ্দগ্রাম, ৯। মোঃ অপু (৩৪), পিতা-মোঃ মোর্শেদ আলম, সাং-রাজাপাড়া, থানা-সদর দক্ষিন মডেল, সর্বজেলা-কুমিল্লা, ১০। আব্দুল আজিজ, পিতা-মোঃ তাজেম হোসেন, সাং-উত্তর আজিজ ফাজিলপুর, থানা-দাগনভূঁঞা, জেলা-ফেনীদের’কে আটক করা হয়। উপস্থিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, কুমিল্লা কর্তৃক নিষেধাজ্ঞা জারীর পরও হাসপাতালে দালালি কার্যক্রম অব্যাহত রেখে গণউপদ্রব সৃষ্টির দায়ে দন্ডবিধি আইন ১৮৬০ এর ২৯১ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে আটককৃতদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হয়। আটককৃত সাজাপ্রাপ্ত আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজ নিজ উপরোক্ত নাম-ঠিকানা প্রকাশ করে। দালালের দৌরাত্ম্য ও হয়রানি নিরসনে ভবিষ্যতেও র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। আটককৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুমিল্লা জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।।