November 11, 2025, 5:56 pm
ব্রেকিং নিউজ

এসপি-ওসিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে এসআইয়ের স্ত্রীর মামলা

রিপোর্টারের নাম:
  • আপডেট টাইম Thursday, October 23, 2025
  • 20 দেখা হয়েছে

গাইবান্ধা প্রতিনিধি:

গাইবান্ধা সদর থানায় কর্মরত এক এসআইয়ের মোবাইল ফোন আর ল্যাপটপ আটক রাখার অভিযোগে এনে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার, থানার ওসিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।

বুধবার বিকালে গাইবান্ধা সদর আমলি আদালতে এ মামলাটি করেন এসআইয়ের স্ত্রী কাজলী খাতুন। আদালত বিষয়টি পিবিআইকে তদন্ত করে আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

মামলার বাদী কাজলী খাতুন জানান, তার স্বামী পুলিশের এসআই মনিরুজ্জামান গাইবান্ধা সদর থানায় চাকরি করছিলেন। ২৫ মার্চ গাইবান্ধা সদর থানার ওসি শাহিনুর ইসলাম ফোন করে এসআই মনিরুজ্জামানকে জরুরিভিত্তিতে পুলিশ সুপার নিশাত এ্যাঞ্জেলার কার্যালয়ে হাজির হতে বলেন। তারপর পুলিশ অফিসে এসআই মনিরুজ্জামানকে দীর্ঘ সময় বসিয়ে রেখে চাকরি হারানোর ভয় দেখানো হয়। পরে পুলিশ সুপারের নির্দেশে তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ জব্দ করা করে গাইবান্ধা সদর থানার ওসির কাছে রাখা হয়।

ঘটনার দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও বিষয়টি সমাধান করা হয়নি। উপরন্তু এসআই মনিরুজ্জামানকে গাইবান্ধা থেকে বদলি করা হয় জয়পুরহাট জেলার কালাই থানায়। স্বামী এসআই মনিরুজ্জামানের ওপর মানসিক চাপ ও ল্যাপটপসহ গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইসগুলো ফেরত দেওয়া হয়নি।

এতে ক্ষুব্ধ হয়ে গাইবান্ধায় এসে গাইবান্ধার এসপি নিশাত এ্যাঞ্জেলা, সদর থানার ওসি শাহিনুর ইসলাম ও তারেকুজ্জামান তুহিনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন স্ত্রী কাজলী খাতুন।

এদিকে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার নিশাত এ্যাঞ্জেলার এমন আচরণ আইনের প্রতি অশ্রদ্ধাপূর্ণ আচরণ মনে করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট জান্নাতুল ফেরদৌসি লাবনী। পাশাপাশি এমন ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন তিনি।

মামলার বাদী কাজলী খাতুন বলেন, আমি বুধবার গাইবান্ধার আদালতে বিচারের আশায় মামলা দায়ের করেছি কিন্তু এসপি এতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। সেই কারণে বৃহস্পতিবার তার স্বামী এসআই মনিরুজ্জামানকে কালাই থানা থেকে ক্লোজ করে জয়পুরহাট জেলা পুলিশ লাইনসে নেওয়া হয়েছে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, মামলা করেছি আমি আর আমার স্বামীকে অন্যায়ভাবে বদলি করা হলো।

এ ব্যাপারে গাইবান্ধা সদর থানার ওসি শাহিনুর ইসলাম জানান, যিনি মামলা করেছেন তার স্বামী এসআই মনিরুজ্জামান একজন পুলিশ কর্মকর্তা ও তারই আত্মীয় সম্পর্কে ফেসবুকে কুরুচিপুর্ণ মন্তব্য করেছেন। সেই পুলিশ কর্মকর্তা তারেকুজ্জামান তুহিন গাইবান্ধা পুলিশ সুপারের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করলে তার মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ জব্দ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সিআইডিকে দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার নিশাত এ্যাঞ্জেলার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন ধরেননি।

শেয়ার করুন
এই ধরনের আরও খবর...
themesba-lates1749691102