February 17, 2025, 1:21 pm
ব্রেকিং নিউজ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মুক্ত আলোচনায় যা বললেন ডিসিরা ‘স্থানীয় নয়, আগে জাতীয় নির্বাচন চাই’ ডিসি সম্মেলন শুরু কাল, উঠছে ৩৫৪ প্রস্তাব বদলে গেল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের নাম বিশ্ব ইজতেমায় ৪৯ দেশের ১৪শ বিদেশি মেহমান জবি বৈষম্যবিরোধী কমিটিকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে নেতাদের পদত্যাগ ইজ‌তেমায় লা‌খো মুস‌ল্লির জুমার নামাজ আদায় ডিসেম্বরেই হতে পারে জাতীয় নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা অন্তর্বর্তী সরকারকেই বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে: হাসনাত আব্দুল্লাহ ভোজ্যতেলের বিষয়ে সুখবর দিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শবেবরাতের আমল ও করণীয় স্বর্ণের দাম বাংলাদেশে ইতিহাস গড়ল সরকার ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে: মির্জা ফখরুল হজযাত্রায় এজেন্সির গাফলতি থাকলে লাইসেন্স বাতিল: ধর্ম উপদেষ্টা সারা দেশে ৫৭ লাখ স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড পাঠিয়েছে টিসিবি মোজাম্মেলের বাড়ি ভাঙচুর, গাজীপুরে ছাত্র জনতার ওপর হামলায় আহত ১৫ আজ থেকে বাংলাদেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ প্রিয় দেশের স্বাধীনতা সবাই মেনে নিয়েছে: জামায়াতের আমির বিবিসি বাংলার কাছে ক্ষমা চাইলেন প্রেস সচিব সাবেক রাষ্ট্রপতি হামিদের বাড়িতে ভাঙচুর

উদ্যোগ ও প্রতিশ্রুতির মধ্যে আটকা দেশের শেয়ারবাজার

রিপোর্টারের নাম:
  • আপডেট টাইম Sunday, January 19, 2025
  • 32 দেখা হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক: উদ্যোগ ও প্রতিশ্রুতির মধ্যে আটকা দেশের শেয়ারবাজার। কোনো উদ্যোগেই কাজ হচ্ছে না শেয়ারবাজারে। প্রতিদিন দরপতনের চাপে একেবারে নাভিশ্বাস অবস্থা বিনিয়োগকারীদের। সরকার পরিবর্তনের পর কিছুদিন ঘুরে দাঁড়ালেও কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে ফের অস্থিরতার মধ্যে পড়েছে। নতুন বছরে বাজার ঘুরে দাঁড়াবে বাজার সংশ্লিষ্টদের এমন প্রতিশ্রুতির প্রভাব দেখা যাচ্ছে না। উল্টো চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত টানা দরপতনই হয়েছে। চলতি বছরের মাত্র ১৫ দিনে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকার মূলধন কমেছে বাজার থেকে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শেয়ারবাজার সংকুচিত করে রাখা হয়েছে। যার কারণে অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে পারছে না। বাজারে মানসম্পন্ন কোম্পানি নেই। যা আছে সেটা অপ্রতুল। ফলে বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ সুরক্ষিত থাকছে না। গত ১০ বছরের অনিয়ম, জালিয়াতি প্রকাশ্যে এনে তার বিচার করা উচিত। বাজারে সব ধরনের হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে। তাহলে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে শেয়ারবাজার। এমন দাবি বিনিয়োগকারীদের। চলতি বছরের শুরু থেকেই দরপতন চলছে শেয়ারবাজার। জানুয়ারির ১২ দিনের লেনদেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে প্রায় ১০০ পয়েন্ট। এ সময় সূচক বেড়েছে মাত্র তিন দিন। কমেছে নয় দিন। সর্বশেষ গত সপ্তাহের পাঁচ দিনের লেনদেনে পাঁচ দিনই কমেছে সূচক। দরপতনের চাপে ডিএসইতে মাত্র ১২ দিনে বাজার মূলধন হারিয়েছে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা। ১ জানুয়ারি ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৯০৫ কোটি টাকা। সর্বশেষ গত ১৬ জানুয়ারি বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৫৬ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। অর্থাৎ এ সময় বিনিয়োগকারীদের লগ্নীকৃত অর্থ থেকে এই মূলধন কমেছে। কর্তৃপক্ষ নানা উদ্যোগের কথা জানালেও বাস্তবে কোনো প্রভাব দেখতে পায়নি বিনিয়োগকারীরা। এর মধ্যে বাজারে অনিয়ম জালিয়াতির দায়ে একাধিক ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা এবং একাধিক কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বাজার সংস্কারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথাও জানানো হয়। একই সঙ্গে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে দ্রুত ঘুরে দাঁড়াবে শেয়ারবাজার। কিন্তু ঘটেছে উল্টো ঘটনা। বিনিয়োগকারীরা তাদের পুঁজি হারাচ্ছেন প্রতিদিন। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বৈঠক করেন বিএসইসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে। এর পরে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায় শেয়ারবাজার। তবে এই ঘুরে দাঁড়ানো এক দিন স্থায়ী হয়নি। বাজার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মিলে শেয়ার সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। শুধু দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা দিয়ে শেয়ারবাজার স্থিতিশীল হবে না বলে মনে করছেন তারা। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেছেন, বিনিয়োগকারীদের আস্থা ধরে রাখতে না পারলে সব সংস্কার ব্যর্থ হবে। আমাদের শেয়ারবাজার অনেক সংকুচিত। গত ১৫ বছরে শেয়ারবাজার অনেক পিছিয়েছে। তবে একই সময়ে বিশ্বের অন্যসব দেশের শেয়ারবাজার এগিয়েছে। এই অবস্থায় বর্তমান সময়ে দেশের সব স্টেকহোল্ডার বাংলাদেশের শেয়ারবাজারকে এগিয়ে নিতে কাজ করছে। দীর্ঘমেয়াদি ও স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছি। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার কাজের ফলাফল পেতে একটু সময় লাগবে। অনেকটা একটি ভবনের ভিত্তি নির্মাণ যেমন বাইরে থেকে দেখা যায় না, সেরকম। তবে ভবনের ওপরে নির্মাণ কাজটা সবাই দেখতে পায়। কিন্তু আসল কাজটা করা হয় ওই ভিত্তি নির্মাণের সময়। ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, গত দেড় দশকের অনিয়ম শনাক্তে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করা উচিত। যে পরিমাণ জালিয়াতি বা জুলুম হয়েছে, তার বিষয়ে জানি না। এগুলো ডকুমেন্টেড করা দরকার। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি তার পূর্ণ ক্ষমতা ব্যবহার করে বাজারের উন্নয়নে কাজ করবে। কিন্তু তাদের নির্ভর করতে মন্ত্রণালয়ের ওপর। এটা দিয়ে বাজারে আস্থা ফেরানো যাবে না। স্থিতিশীল হবে না। কমিশনকে পূর্ণাঙ্গ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ওপরের নির্দেশ ছাড়া তারা কিছু করতে পারে না। এভাবে কোনো স্টক মার্কেট স্থিতিশীল হয় না।

শেয়ার করুন
এই ধরনের আরও খবর...
themesba-lates1749691102