আল আমিন মিলন,আত্রাই,প্রতিনিধিঃ-নওগাঁর আত্রাইয়ে এবারে সরিষার বাম্পার ফলনের আশাবাদি কৃষক। সরিষা ফুলের হলুদ রঙে রঙিন হয়ে উঠেছে মাঠের পর মাঠ। অনুকুল আবহাওয়া ও সঠিক পরিচর্যায় সরিষার বাম্পার ফলন হবে আশা করছেন এলাকার কৃষকরা।
জানা যায়,এবারে উপজেলার ৮ ইউনিয়নে ৫ হাজার ৩৬০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে শাহাগোলা,কালিকাপুর ও হাটকালুপাড়া ইউনিয়নে সর্বাধিক জমিতে সরিসার চাষ করা হয়েছে।মৌসুমের শুরু থেকেই অনুকুল আবহাওয়া ও সঠিক পরিচর্যার কারনে মাঠে মাঠে সরিষার গাছ দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে।
সেই সাথে সরিষা ফুলের হলুদ রঙ কৃষকের মনে আনন্দের ঢেউ তুলেছে।এবারে সরিষা চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে সরকারী ভাবেও ব্যাপক প্রণোদনা দেয়া হয়েছে।এ ছাড়াও উপজেলা কৃষি অফিস থেকে তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে সার্বক্ষণিক পরামর্শ দেয়া হয়েছে।সরিষা একটি লাভজনক আবাদ।কম পরিশ্রম,স্বল্প সময়ে উৎপাদন এবং বাজারে যথেষ্ট চাহিদা থাকায় এবারে কৃষকরা ঝুঁকে পড়েছে সরিষা চাষে।কৃষকদের কাছ থেকে জানা যায়,ভাল ফলন হলে সরিষা বিঘা প্রতি ৮ থেকে ১০ মণ পর্যন্ত ফলন হয়।
বর্তমান বাজারে ৩ হাজার ৫০০ টাকা মণ সরিষা বিক্রি হচ্ছে।সে অনুযায়ী একজন কৃষক বিঘা প্রতি ৩০ হাজার থেকে ৩৫ হাজার টাকা আয় করতে পারছেন। এদিকে সরিষা কর্তনের পর অধিকাংশ জমিতে বোরো চাষ করা হয়ে থাকে। তাই এটি কৃষকদের জন্য একটি বাড়তি আয় হয়ে থাকে।
উপজেলার ৮নং হাটকালুপাড়া ইউনিয়নের বড় শিমলা গ্রামের মোঃ আব্দুল জলিল, চকশিমলা গ্রামের মোঃ বেলাল হোসেন কবিরাজ বলেন,এবারে তাদের চাষকৃত সরিষাগুলো দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে।
এলাকা জুড়ে যারা সরিষা চাষ করেছেন সকলেরই সরিষার জমি এখন হলুদ রঙে রঙিন হয়ে উঠায় যেন এগুলো বিনোদন স্পট হয়েছে।আবহাওয়ার বিপর্যয় না হলে বাম্পার ফলনেরও আশাবাদি তারা।উপজেলা কৃষি অফিসার প্রসেনজিৎ তালুকদার বলেন,এবারে বিপুল সংখ্যক কৃষকদের সরিষা বীজ ও সার প্রণোদনা দেয়া হয়েছে।সেই সাথে বীজ নিয়ে যেন তারা প্রতারণার শিকার না হন এ জন্য আমরা বাজার পর্যায়ও তদারকি করেছি। কৃষকরা যাতে স্বল্প খরচে অধিক ফলন পান এ জন্য আমরা তাদেরকে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করেছি।